শত বাধাঁ, কষ্ট উপেক্ষা করে কেন এত মানুষ আসে এখানে?
জামিয়া ইউনুছিয়া শতবার্ষিকী দস্তারবন্দী বহু আলোচিত, প্রত্যাশীত এক স্বপ্নময় সম্মেলন,
যে স্বপ্নের মূল নায়ক দারুল উলুম দেওবন্দ মজলিশে শুরার (فداۓ ملت) সদস্য আল্লামা আবু তাহের ইউনুস মুজাফ্ফরী রহঃ এবং আল্লামা তাজুল ইসলাম ফখরে বাঙ্গাল রহঃ, আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহঃ, আল্লামা আব্দুল ওয়াহাব পীরজি রহঃ, আল্লামা সিরাজুল ইসলাম (বড় হুজুর) রহঃ সহ সকল আকাবীরে জামিয়া ইউনুছিয়ার।
ছিলনা এখানে কোন আকর্ষনিয় লাইটিং, না'ছিল স্পেশাল বসার ব্যবস্থা , না'ছিল পরিমাণ মত পানিয় ও খাদ্য।
মোটকথা জনসমাগম অনুযায়ী ভালো কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
এক দিকে দমন নিপীড়ন অন্যদিকে পিকেটারদের হাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি! তার পরও মানুষের ভিরে গা ঘেঁষে এক কদম দু'কদম হেটে হেটে কোনমতে প্যান্ডেলে ঢুকে।
আগ্রহ যুবকদের পিছনে ফেলে মুরুব্বিগণ সামনে অগ্রসর হতে চায়, তাঁরা গ্রামের আঁকা বাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে লাঠি ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে আদিম যুগের বাতি (হারিকেন) নিয়ে শহরে অলিগলিতে জায়নামাজ বিছিয়ে বসে গভীর মনুযোগে ওয়াজের দামী দামী কথা শোনেছেন।
ওয়াজ শেষে রাতের গভীরে কোন মসজিদে বা মাঠের ভেতর বা আশপাশে কোথাও চাদর মোড়িয়ে শুয়ে থাকে।
মা"বোনদের আগ্রহ তো অসাধারণ যা কল্পনাও করা যায়না
শহরে নিকটতম আত্মীয় বা দূরবর্তী কাহারো বাসায়, অনেক সময় বাসার ছাদে বা দল বেধেঁ রাস্তার পাশে চাদর টানিয়া নিশ্চোপে ওয়াজ শোনার জন্য দূরদূরান্ত থেকে সাপ্তাখানেক আগেই চলে আসে।
এই লক্ষ্য-কোটি তাওহীদি জনতার জন্য প্রয়োজন হয়নি কোন ট্রাফিক বা নিরাপত্তাকর্মী।
এই নিদর্শনগুলি এই দিকেই ইংগিত করে যে- এখনো বাংলার মানুষ তাওহীদকে নিজের জীবনপেক্ষায় ভালোবাসে।
শাহ জালাল রহঃ শাহ পরান রহঃ-এদের মত আলেম উলামাদের প্রতি এখনো মানুষের আস্থা রয়েছে। যদিও সিনেমানাটকে আলেমদের হেয় করে জনগনের আস্থা, আত্মবিশ্বাস কেড়ে নিতে চায়।
আমি আলেম বিদ্ধেশী ও নাস্তিকদের লক্ষ্য করে বলছি তোমরা এই একটি চিত্র থেকে তোমাদের ভুল সংষোধন করে নিতেপার। যা তোমাদের লিডারেরা বাস্তবায়নে ব্যর্থতা প্রকাশ করেছে।
অনেকে অনেক পীরগুরু অন্ধভক্ত হিসাবে নিজের আত্মবিশ্বাসকে নিজ দলেই সীমাবদ্ধ রাখে, অন্য জনের কথা যদিও ১০০% হক হয়, তবো সে দিকে না বুঝার চেষ্টা করে। প্রকৃত কোরআন হাদীস জ্ঞানের ভান্ডার যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন তাদের দেখলেই যেন গা চুলকানী শুরু হয়, এই চিত্রগুলি তোমাদের জন্য একটা প্রাইজ দিলাম যা তোমাদের চিন্তা চেতনাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে।
সাম্রাজ্যবাদী, জালিমশাহী ও নাস্তিক্যবাদ সহ সকল তাগুতীশক্তি তোমাদের যে বিষয়টি জানা থাকা আবশ্যক তা হল দমন নিপীড়নে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, স্যাকুলারি, রাজনৈতিক স্বৈরাতন্ত্র রুখা যায়। কিন্তু ইসলাম ধর্ম ও তাওহীদিশক্তিকে কোনভাবেই রুখা যায়না। কারণ অন্যান্য সকল বিষয় আবিস্কারে কোন ব্যক্তির হাত থাকে। আর ইসলামের বাতি স্বয়ং আল্লাহ জালিয়েছেন, যাকে নিবিয়ে দেওয়ার শক্তি কাহারো নেই, কেহ এ বাতি নিবাতে চাইলে তার কালো হাত পুরে যাবে, সে নিজের অস্তিত্ব হরাবে তবো ইসলামের বাতি নিবাতে পরবেনা।
আল্লাহ আমাদের জামিয়া ইউনুছিয়ার আলোকে গোটা জাতির জন্য হেদায়তের নূর বানিয়ে দিন।
মুফতী বোরহান উদ্দিন সিরাজী
(লেখাটি কপি না করে শেয়ার করুন)
জামিয়া ইউনুছিয়া শতবার্ষিকী দস্তারবন্দী বহু আলোচিত, প্রত্যাশীত এক স্বপ্নময় সম্মেলন,
যে স্বপ্নের মূল নায়ক দারুল উলুম দেওবন্দ মজলিশে শুরার (فداۓ ملت) সদস্য আল্লামা আবু তাহের ইউনুস মুজাফ্ফরী রহঃ এবং আল্লামা তাজুল ইসলাম ফখরে বাঙ্গাল রহঃ, আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহঃ, আল্লামা আব্দুল ওয়াহাব পীরজি রহঃ, আল্লামা সিরাজুল ইসলাম (বড় হুজুর) রহঃ সহ সকল আকাবীরে জামিয়া ইউনুছিয়ার।
ছিলনা এখানে কোন আকর্ষনিয় লাইটিং, না'ছিল স্পেশাল বসার ব্যবস্থা , না'ছিল পরিমাণ মত পানিয় ও খাদ্য।
মোটকথা জনসমাগম অনুযায়ী ভালো কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
এক দিকে দমন নিপীড়ন অন্যদিকে পিকেটারদের হাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি! তার পরও মানুষের ভিরে গা ঘেঁষে এক কদম দু'কদম হেটে হেটে কোনমতে প্যান্ডেলে ঢুকে।
আগ্রহ যুবকদের পিছনে ফেলে মুরুব্বিগণ সামনে অগ্রসর হতে চায়, তাঁরা গ্রামের আঁকা বাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে লাঠি ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে আদিম যুগের বাতি (হারিকেন) নিয়ে শহরে অলিগলিতে জায়নামাজ বিছিয়ে বসে গভীর মনুযোগে ওয়াজের দামী দামী কথা শোনেছেন।
ওয়াজ শেষে রাতের গভীরে কোন মসজিদে বা মাঠের ভেতর বা আশপাশে কোথাও চাদর মোড়িয়ে শুয়ে থাকে।
মা"বোনদের আগ্রহ তো অসাধারণ যা কল্পনাও করা যায়না
শহরে নিকটতম আত্মীয় বা দূরবর্তী কাহারো বাসায়, অনেক সময় বাসার ছাদে বা দল বেধেঁ রাস্তার পাশে চাদর টানিয়া নিশ্চোপে ওয়াজ শোনার জন্য দূরদূরান্ত থেকে সাপ্তাখানেক আগেই চলে আসে।
এই লক্ষ্য-কোটি তাওহীদি জনতার জন্য প্রয়োজন হয়নি কোন ট্রাফিক বা নিরাপত্তাকর্মী।
এই নিদর্শনগুলি এই দিকেই ইংগিত করে যে- এখনো বাংলার মানুষ তাওহীদকে নিজের জীবনপেক্ষায় ভালোবাসে।
শাহ জালাল রহঃ শাহ পরান রহঃ-এদের মত আলেম উলামাদের প্রতি এখনো মানুষের আস্থা রয়েছে। যদিও সিনেমানাটকে আলেমদের হেয় করে জনগনের আস্থা, আত্মবিশ্বাস কেড়ে নিতে চায়।
আমি আলেম বিদ্ধেশী ও নাস্তিকদের লক্ষ্য করে বলছি তোমরা এই একটি চিত্র থেকে তোমাদের ভুল সংষোধন করে নিতেপার। যা তোমাদের লিডারেরা বাস্তবায়নে ব্যর্থতা প্রকাশ করেছে।
অনেকে অনেক পীরগুরু অন্ধভক্ত হিসাবে নিজের আত্মবিশ্বাসকে নিজ দলেই সীমাবদ্ধ রাখে, অন্য জনের কথা যদিও ১০০% হক হয়, তবো সে দিকে না বুঝার চেষ্টা করে। প্রকৃত কোরআন হাদীস জ্ঞানের ভান্ডার যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন তাদের দেখলেই যেন গা চুলকানী শুরু হয়, এই চিত্রগুলি তোমাদের জন্য একটা প্রাইজ দিলাম যা তোমাদের চিন্তা চেতনাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে।
সাম্রাজ্যবাদী, জালিমশাহী ও নাস্তিক্যবাদ সহ সকল তাগুতীশক্তি তোমাদের যে বিষয়টি জানা থাকা আবশ্যক তা হল দমন নিপীড়নে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, স্যাকুলারি, রাজনৈতিক স্বৈরাতন্ত্র রুখা যায়। কিন্তু ইসলাম ধর্ম ও তাওহীদিশক্তিকে কোনভাবেই রুখা যায়না। কারণ অন্যান্য সকল বিষয় আবিস্কারে কোন ব্যক্তির হাত থাকে। আর ইসলামের বাতি স্বয়ং আল্লাহ জালিয়েছেন, যাকে নিবিয়ে দেওয়ার শক্তি কাহারো নেই, কেহ এ বাতি নিবাতে চাইলে তার কালো হাত পুরে যাবে, সে নিজের অস্তিত্ব হরাবে তবো ইসলামের বাতি নিবাতে পরবেনা।
আল্লাহ আমাদের জামিয়া ইউনুছিয়ার আলোকে গোটা জাতির জন্য হেদায়তের নূর বানিয়ে দিন।
মুফতী বোরহান উদ্দিন সিরাজী
(লেখাটি কপি না করে শেয়ার করুন)
কওমী আলেমদের জন্য এখনো মানুষের ভালোবাসা
Reviewed by Unknown
on
09:04
Rating:
No comments:
Post a Comment